শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. জাফর জানান, সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের কাছে আমুড়িয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন – ইউনিয়ন পরিষদ চৌকিদার আবু সুফিয়ান, ভ্যানচালক বাবলু মিয়া ও ফুলি মিয়া।
বাবলু বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার সিদ্দিক ব্যাপারি ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে ওই চাল মাগুরা নেওয়ার জন্য তাকে ও ফুলিকে ভাড়া করেন।
“সিদ্দিক ওই চাল জনগণের কাছ থেকে কিনেছেন বলে আমাদের জানান। চৌকিদার সাত্তার ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম খুলে আমাদের ১৬ বস্তা মুখ সেলাই করা চাল দেন। চৌকিদার সুফিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বের হলে আমুড়িয়া বাজারে আমাদের আটক করে পুলিশ।”
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
“বুধবার সারাদিন দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণ করি। অবশিষ্ট ১৬ বস্তা চাল বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে এই মর্মে উপস্থিত সবার স্বাক্ষর নিয়ে গুদামে রেখে চাবি সচিবের কাছে দিয়ে আমি চলে আসি। রাত আনুমানিক ২টার দিকে খবর পাই গুদামের চাল পাচারকালে তিনজন আটক হয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।”
দুটি ভ্যানে করে চাল নিয়ে যেতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয় বলে জানিয়েছেন এসআই জাফর।
তিনি বলেন, ‘বিক্রয় নিষিদ্ধ লেখা’ ৫০ কেজির বস্তা হিসেবে ১৬ বস্তায় ৮০০ কেজি চাল থাকার কথা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।