সিলেট অঞ্চলে চার নদীর পানি বিপদসীমার উপরে 

টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলের চার নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে; এতে জেলার চার উপজেলায় বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2018, 09:25 AM
Updated : 14 June 2018, 09:25 AM

সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে জেলার কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। আর সারি ও পিয়াইন নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তুাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ২ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার ও সিলেটে পয়েন্টে দশমিক ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে কুশিয়ারার পানি অমলসিদ পয়েন্টে ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পানি ঢুকে পড়ায় এ চার উপজেলার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা; পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

প্রকৌশলী সিরাজুল জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি উঠেছে।

জৈন্তুপুর উপজেলার নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ডুলটিরপাড়, বিরাখাই, শেওলারটুক, আসামপাড়া এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

কানাইঘাটে সুরমা নদীর উপচে পানি প্রবেশ করেছে কানাইঘাট উপজেলা সদরে। দক্ষিণ ও পূর্ববাজারের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া কানাইঘাট পৌরসভার বায়ুমপুর ও রামপুর গ্রামের বেশকিছু এলাকায় প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।

জকিগঞ্জ উপজেলায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী অন্তত দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে সিলেট নগরের নিচু এলাকায়ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নগরীর সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবজিৎ সিংহ বলেন, প্রকৃতিগতভাবে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামলে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে জনপদ প্লাবিত হয়। নতুন করে ঢল না নামলে পানি আবার নেমে যায়।

“পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে; কিন্তু এখনও বন্যা দেখা দেয়নি।”

প্লাবিত গ্রামগুলোতে সরকারি সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।