কক্সবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরাতে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা

ভারি বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের পাহাড় বা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2018, 05:01 AM
Updated : 14 June 2018, 05:20 AM

ইতোমধ্যে কক্সবাজার শহরে ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে; বাকিদেরও সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে।

পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছয়টি টিম বুধবার সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু করে বলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন জানান।   

শহরের লাইট হাউজ পাড়া মাদ্রাসা, পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি ও ইন্সটিটিউট, বইল্ল্যা পাড়া ডি-ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতন ও সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

বুধবার রাতে কক্সবাজার শহরের এসব আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ৩০০ পরিবারের অন্তত দেড় সহস্রাধিক মানুষকে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও পাহাড় ও পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও সদর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ নোমান হোসেন প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রোজাদারদের জন্য ইফতার ও সেহেরির ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিংসহ নানা প্রচারণা চলছে।”

ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা কোন লোকজনকে পাহাড় বা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাদের সরিয়ে নিতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনও কাজ করে যাচ্ছে।”

ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার পাহাড় ধসে এবং গাছচাপায় কক্সবাজারে দুইজনের মৃত্যু হয়।