বেতন-ভাতা পাননি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৭০০ কর্মচারী

ঈদের আগে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রায় ২৭০০ কর্মচারী।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2018, 12:33 PM
Updated : 13 June 2018, 12:33 PM

বেতন ভাতার দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন করপোরেশনের দৈনিক মজুরি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত দুই হাজার ২০০ ও স্থানীয় নিয়োগপ্রাপ্ত ৫০০ কর্মচারী।

মঙ্গলবার আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে এ নিয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চেম্বারে কর্মচারীদের সঙ্গে কর্মকর্তার ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।

করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোমিন বলেন, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে প্রয়োজন তিন কোটি ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু কোষাগারে রয়েছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা। তাই কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভাব হয়নি।

“তবে ওয়াসার কাছে কিছু টাকা চাওয়া হয়েছে। তারা দিলে বৃহস্পতিবার কিছু কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে।”

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমির আহমেদ মামুন বলেন, আগের মেয়রের আমলে তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়েছেন। কোনো মাসে সমস্যা হয়নি।

“কিন্তু বর্তমান মেয়রের আমলে প্রথম দিকে ঠিকমত বেতন-ভাতা পেলেও গত দুই বছর ধরে ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছে না।”

পাঁচ বছর আগে দায়িত্ব ছাড়ার সময় ছয় কোটি টাকার বেশি উদ্বৃত্ত অর্থ রেখে যান বলে দাবি করেছেন সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

কিন্তু বর্তমানে দেনা রয়েছে প্রায় ৭৬ থেকে ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতা বকেয়া সোয়া তিন কোটি, ঠিকাদারদের ২৮ কোটি এবং বিদ্যুতের ৩৬ কোটি টাকা ।

এ বিষয়ে মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, বেতন-ভাতা, ঠিকাদারের পাওনা ও বিদ্যুৎ বিলসহ সব মিলিয়ে বর্তমানে দেনা রয়েছে ৭৬ থেকে ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঠিকাদার পাবে ২৮ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩৬ কোটি ও বেতন-ভাতা বকেয়া সোয়া ৩ কোটি টাকা।

সিটি করপোরেশনের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য সরকারি বরাদ্দ না পাওয়াকে দায়ী করে তিনি বলেন, এখন সিটি করপোরেশন চলছে নিজস্ব আয় থেকে।

বিভিন্ন মামলায় ২৭ মাস সিটি করপোরেশনের বাইরে ছিলেন জানিয়ে বুলবুল বলেন, সে সময় যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন তার আমলে সবচেয়ে বেশি দেনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০০৮ সালে প্রায় ২২ কোটি টাকা দেনা নিয়ে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নিই। আর ২০১৩ সালে দায়িত্ব ছাড়ার সময় উদ্বৃত্ত ছিল ছয় কোটি টাকার বেশি।