শেরপুরে ২ ইউপির দুই কেন্দ্রে পুনঃভোটের নির্দেশ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদে দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2018, 02:42 PM
Updated : 12 June 2018, 02:42 PM

অনিয়মের অভিযোগে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর করা দুটি মামলার রায়ে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

কেন্দ্র দুটি হলো শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের নয়আনী শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের মাদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মাহবুবুল আলম রকীব মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ শ্রীবরদী সদর ও খড়িয়া কাজিরচর ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

“শ্রীবরদী সদর ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুল হালিম বিজয়ী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকরাম হোসেন পরাজিত হন।

“অপরদিকে খড়িয়া কাজিরচর ইউপির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ ডি এম শহিদুল ইসলাম বিজয়ী এবং বিএনপি প্রার্থী মো. শাহজাহান পরাজিত হন।”

দুই পরাজিত প্রার্থী বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২৬ মে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন বলে জানান অ্যাডভোকেট রকীব।

আকরাম হোসেন তার মামলায় অভিযোগ করেন, নয়আনী শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হালিমের পক্ষে ভোট ডাকাতি, কারচুপি, বিভিন্ন অনিয়ম ও তার (আকরাম) একজন নির্বাচনী এজেন্টকে অপহরণ করা হয়েছিল। এই কেন্দ্র ছাড়া অন্য ৮টি কেন্দ্রে আকরাম ৭১৬ ভোটে এগিয়েছিলেন।

“এই কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৫৩ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৪২২ ভোট প্রদান দেখানো হয়। ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন মাত্র ৩১ জন। আর ভোট প্রদানের হার শতকরা ৯৮ ভাগ, যা অস্বাভাবিক। অর্থাৎ কারচুপি ও অনিয়মের মাধ্যমে আব্দুল হালিম বিজয়ী হয়েছিলেন।”

শাহজাহানের অভিযোগ, মাদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৬৭ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৯০০ ভোট প্রদান দেখানো হয়। ভোট প্রদানের হার শতকরা ৯২ ভাগ, যা অস্বাভাবিক। এই কেন্দ্র ছাড়া অন্য ৮টি কেন্দ্রে ভোট প্রদানের হার ছিল শতকরা ৭৫ ভাগ। এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়মের ব্যাপারে আদালতে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে ট্রাইব্যুনাল ওই দুটি কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন বলে রকীব জানান।

দুই বিবাদীর মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম।