টানা বৃষ্টিতে আতঙ্কে রাঙামাটি

টানা বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ধস, ফাটল ও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে রাঙামাটিতে। মাইকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে বললেও সাড়া মেলেনি; বরং আতঙ্ক বেড়েছে আরও বেশি।

ফজলে এলাহী রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2018, 08:50 AM
Updated : 11 June 2018, 10:57 AM

গত বছর এই সময় এ জেলায় টানা বৃষ্টির মধ্যে পাহাড় ধসে অন্তত ১২০ জনের প্রাণ যায়। সড়ক ধসে সারাদেশ থেকে রাঙামাটি বিচ্ছিন্ন থাকে ১৭ দিন।

রোববার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় সেই আতঙ্ক আবার ফিরে আসে।

শহরের শিমুলতলি এলাকার মুদি দোকানি নূর মোহাম্মদ সোমবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃষ্টি দেখলেই ভয় লাগে। মনে হয় যেন যে গত বছরের মত হবে। বৃষ্টির কারণে সারারাত নির্ঘুম ছিলাম।”

এই আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে।

জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপাকে পড়েছে।

শহরের চম্পকনগর, আনসার ক্যাম্প, উন্নয়ন বোর্ড এলাকাসহ কয়েক জায়গায় সড়ক ও ভবনের পাশের মাটি সরে যাওয়া ও রাস্তার ওপর গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।

ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গাছ কেটে সরিয়ে নিলে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বটে, আতঙ্ক পিছু ছাড়ে না টানা বৃষ্টির কারণে।

গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের  নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অনেকে।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে।

জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ বলেন, “চারদিক থেকে ভয়াবহ আতঙ্ক আর টানা বৃষ্টির কারণে আমিও ঘরে বসে থাকতে পারিনি। রাতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।

“অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও তড়িৎ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল থেকে রাত অবধি মাঠেই আছেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব।”

সোমবার বেলা ১টার দিকে বৃষ্টি থেমে গেলেও আকাশ মেঘলা থাকায় বিপদের আশঙ্কা পিছু ছাড়েনি।