এ ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে ফিশিং বোট মালিক সমিতি সংশ্লিষ্টরা দাবি করলেও প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করেনি।
রোববার ভোর রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট এবং মহেশখালীর সোনাদিয়া পয়েন্টের গভীর সাগরে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও ট্রলার সংশ্লিষ্টরা জানান।
মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ডেইলপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে দিদারুল আলমের (৩০)।
কক্সবাজার থানার এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, ভোর রাতে গভীর বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে জীবিত উদ্ধার এবং কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
"রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার কর।"
মৃতদেহটি ভোর রাতে সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক জেলের বলে ট্রলার মালিকসহ স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন বলে জানান এসআই মনিরুল।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী বলেন, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট এলাকায় সাগরে ভেসে আসে চারটি ট্রলার। ওই ট্রলারগুলো ডুবে যাওয়ার পর বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। ওই ট্রলারগুলো থেকে ১৬ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার হয়।
তাদের মধ্যে সামান্য আহত ১২ জনকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান রাব্বী।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, গভীর সাগরে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে কক্সবাজারের চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়।
“এতে চারটি ট্রলারে থাকা ৮০ জন জেলে জীবিত ফিরে এলেও এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।”
এদিকে মহেশখালীর সোনাদিয়া পয়েন্টের গভীর সাগরে রোববার ভোর রাতে ঝড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়ে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন।
এতে একটি ট্রলার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে; তবে ট্রলারে থাকা ৬০ জনের বেশি জেলেদের সবাই জীবিত ফিরেছেন বলে জানান তিনি।
তবে ট্রলারডুবির ঘটনায় জেলে নিখোঁজ থাকার ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার ওসি খোন্দকার ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
ওসি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।