বুধবার জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার রোবায়েত হায়াত শিপলু ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আলম মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন মেসার্স মা টেলিকমের মালিক নাজমুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম।
শাহ আলম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাজমুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, যা অনাদায়ে তাকে এক মাসের জেল এবং নজরুল ইসলামকে তিন দিনের জেল দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাসপোর্টের ফরম পূরণ, জমা দেওয়া, টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে তা হাতে পাওয়া পর্যন্ত সব জায়গাতেই রয়েছে দালালদের অবাধ যাতায়াত।
“পাসপোর্ট অফিসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ওই দালাল চক্র আবেদনকারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। এভাবে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।”
পাসপোর্ট অফিসের সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ, এই অফিসে দালালদের খপ্পরে পড়ে আবেদনকারীরা একদিকে যেমন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করছেন, তেমনি হয়রানির শিকারও হচ্ছেন। প্রয়োজনের সময় আবার হাতে পাসপোর্ট না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকেই। এক একটি পাসপোর্ট পেতে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা দালালদের দিতে হয়। আবার কোনো কোনো সময় টাকা নিয়েও পাসপোর্ট না দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।