শরীয়তপুরের হাসপাতালে মানহীন খাবার, রোগীদের ক্ষোভ

সর্বনিম্ন দর দেখিয়ে কাজ নেওয়ার পর শরীয়তপুরের এক ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা মানহীন খাবার সরবরাহ করছেন বলে জানিয়েছে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2018, 10:26 AM
Updated : 6 June 2018, 10:26 AM

ঠিকাদার মাঈন উদ্দিন পেয়াদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের ব্যানারে দরপত্র জমা দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তিনি এই হাসপাতালে খাবার সরবরাহের কাজ পেয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “ঠিকাদার দরপত্র দাখিলের সময় চালের দাম দেখিয়েছেন ১০ টাকা, রসুন ২০ টাকা, তরকারি কেজি ৩.১৮ টাকা, ইত্যাদি।

“এখন মানসম্মত কোনো খাবার পরিবেশন করছেন না। অমি বললেও তিনি আমল দেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

অভিযোগ ওঠার পর সাংবাদিকরা হাসপাতালটিতে খোঁজ নিতে গেলে রোগীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, কিছু খাবারের মান এতই খারাপ যে তা খেলে রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রোগী অনিল মণ্ডল বলেন, “এই হাসপাতালের খাবার এতই নিম্মমানের যে খাওয়ার যোগ্য না। নিম্মমানের চালের ভাত। ডাল গন্ধ ও পাতলা। ভাতের সঙ্গে ডাল মেশানো হলে মনেই হয় না ডাল না পানি।

“প্রতিদিন পুকুরের গন্ধ পাঙ্গাশ বা সিলভার কার্প। তাও ছোট্ট একটু টুকরা। দুই-এক দিন বয়লার মুরগির মাংস দেয়। তাও তথৈবচ। আর যা দেয় সবই খারাপ দেয়।”

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন খলিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের সিভিল সার্জন নির্মল চন্দ্র দাসের সময় ওই ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।”

নির্মল চন্দ্র ঢাকায় বদলি হয়েছেন। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, “দরপত্র খোলার পর চালের দাম ইত্যাদি দেখি নাই। টোটাল দাম দেখে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দিয়েছি।”

ঠিকাদার মাঈন উদ্দিন নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “অমি খারাপ কোনো খাবার পরিবেশন করছি না। মেনুতে যা আছে তাই সরবরাহ করে থাকি।”