ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
গত বছরের ২৪ জুলাই শ্রীমঙ্গলের সুড়ভী পাড়ায় ফারুকুলকে শ্বসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার শ্যালক সুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন জানান, ফারুকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন আক্তার বিয়ের পর বিছুদিন শাশুড়ি জয়না বেগমকে নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। ওই সময় শিরিন শাশুড়ির সঙ্গে বসবাসে আপত্তি জানান।
শাহাদাত বলেন, এ নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ শুরু হয়। কয়েককবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। এক পর্যায়ে ফারুকুল ইসলাম শায়েস্তাগঞ্জ ছেড়ে শ্রীমঙ্গলের সুড়ভী পাড়ায় বসবাস করতে থাকেন।
“এদিকে স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই সুজন ও মা মালেকা বেগম মিলে ফারুকুল ইসলামকে হত্যা করে তার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।”
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে সুড়ভী পাড়ায় সুজন, মালেকা বেগম ও শিরিনের সঙ্গে ফারুকুলের কথা কাটাকাটি হয়।
“এক পর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফারুকুল ইসলামকে তারা পিঠিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন।”
শাহাদাত বলেন, এ ঘটনায় পরদিন (২৫ জুলাই) ফারুকুলের মা জয়না বেগম ছেলের বউ শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে মামলাটি পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, “পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত সুজনকে ৩০ মে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আটক করে।”
শাশুড়ি মালেকা বেগম পলাতক এবং স্ত্রী শিরিন আক্তার জামিনে মুক্ত রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।