কটিয়াদী থানার ওসি জাকির রব্বানী জানান, বৃহস্পতিবার মশুয়া ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রামের কলাতলী পাড়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাতে কলাতলী পাড়া থেকে মো. মস্তোফাকে (২৫) আটক করা হয়। মোস্তফা কাজীরচর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এবং অটোরিকশা চালক বলে ওসি জানান।
ওসি জাকির বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে দুই স্কুল ছাত্রী পার্শ্ববর্তী এক বান্ধবীর বাড়ি যাচ্ছিলেন তাদের এক বন্ধুকে নিয়ে। পথে কলাতলী পাড়ায় দুইটি মোটরসাইকেল যোগে জীবন, ইব্রাহিম, মনির ও মস্তোফা তাদের পথরোধ করে এবং জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে লেবু বাগানে নিয়ে যায়।
“সেখানে তাদের পুরুষ সঙ্গীকে বেঁধে রেখে দুই ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।”
ওসি বলেন, বিষয়টি প্রথমে ছাত্রীর অভিভাবকরা গোপন রাখেন। পরে জানাজানি হলে শনিবার গভীর রাতে পুলিশ মশুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মোস্তফাকে আটক করে।
“পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবদে সে তার সঙ্গীদের নিয়ে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।”
ওসি জাকির আরও জানান, এ ব্যাপারে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কটিয়াদি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।