নিহতদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
নিহত নন্দলাল মিলন (১৮) ওই ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের উপেন্দ্র নাথের ছেলে। আর সুধারানী (১৭) একই ইউনিয়নের দেবীটলি গ্রামের তীরেনচন্দ্র রায়ের মেয়ে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিরুজ্জামান বলেন, এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে দেবীটলি বাজার এলাকার একটি আমবাগান থেকে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
“মিলনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় আর সুধার লাশ মাটিতে পড়ে ছিল।”
এলাকাবাসী জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলের পক্ষ থেকে অনেকবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু মেয়েপক্ষ তাতে রাজি ছিল না।
চেয়ারম্যান মোস্তফা বলেন, “তারা একসঙ্গে লেখাপড়া করত। সেখান থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা মনে হচ্ছে ছেলেটি কৌশলে মেয়েটিকে আমবাগানে ডেকে আনে। তারপর মেয়েটিকে হত্যা করে তার ওড়না দিয়ে ছেলেটি নিজেও ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।”
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি আমিরুজ্জামান।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।