‘লাঠি দিয়ে দুটো বাড়ি মেরেছি, বেধড়ক মারপিট করিনি’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ‘যৌতুকের দাবিতে মারধরে’ গুরুতর আহত এক তরুণী গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2018, 08:12 AM
Updated : 29 May 2018, 09:27 AM

আহত মোকসেদা আক্তার মাফি (১৯) আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রামের আলমগীর মিয়ার স্ত্রী।

আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্ত্রীকে দুই-একটা চর-থাপ্পর দিয়েছি। আর একটা লাঠি দিয়ে পায়ের মধ্যে দুটো বাড়ি মেরেছি। তবে তাকে বেধড়ক মারপিট করিনি।”

মোকসেদার অভিযোগ, বছর খানেক আগে বিয়ের পর থেকে আলমগীর তাকে প্রায়ই মারধর করেন।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোকসেদা মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বছর খানেক আগে বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন আলমগীর মাদকাসক্ত ও জুয়ার আসরে যান।

“আর সময়-অসময় আমাকে মারধর করে। সোমবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। আমি রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয়। পরে গভীর রাতে বাড়ি ফিরে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।”

মঙ্গলবার সকালে তার বাবার বাড়ির লোকজন গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে তিনি জানান।

হাসপাতালের চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ জয় বলেন, “তার কোমরের নিচে প্রচুর আঘাতের দাগ রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা।

তিনি বলেন, আর তার পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় আলমগীরকে তিন লাখ টাকা ও এক ভরি সোনা যৌতুক দিয়েছিলেন বলে মোকসেদার বাবা নুরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।