প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: পাঁচ জেলায় আটক ৪২

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নানা অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ জেলায় ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2018, 05:54 PM
Updated : 26 May 2018, 05:54 PM

এর মধ্যে রয়েছেন নওগাঁয় ১০ জন, রাজশাহীতে পাঁচজন, পাবনায় ১৯ জন, জামালপুরে পাঁচজন এবং গাইবান্ধায় তিনজন।

শনিবার বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

নওগাঁ 

নওগাঁয় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার অভিযোগে কলেজ শিক্ষকসহ ১০ পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন ধামইরহাট ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোরশেদুল আলম (৪৫), পরীক্ষার্থী তহমিনা আকতার (২৭), আতিয়া সুলতানা বিথি (২৬), মোছা. সুইট পারভীন (২৬), নেশারুল হক (৩২), মিলন হোসেন (৩৫), সবিনা ইয়াসমিন (২৭), ফরহাদ হোসেন (৩৫), মামুনুর রশিদ (৩২) ও মুক্তা আকতার (২৫)।

পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, শহরের ডিগ্রি কলেজের পাশে কোমাইগাড়ী মহল্লার একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে যেগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তর সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়।

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান।

অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ পাঁচজন আটক হয়েছেন।

দুপুরে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ও পলিকেটনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয় বলে বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ জানান।

ওসি বলেন, আটকরা হলেন তুসমির শেখ, সারোয়ার জাহান, সাইদুর রহমান, আলমগীর হোসেন। একজনের নাম জানা যায়নি।

তুসমির শেখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে ওসি জানান।

পাবনা

নকলে সহায়তার অভিযোগে পাবনায় কলেজে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষক এবং ১৫ পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে প্রশাসন।

এ সময় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় বলে জানান পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জালাল উদ্দিন।

জামালপুর

নকল সরবরাহের অভিযোগে জামালপুরে পাঁচজনকে আটকের পর জেল জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সদর উপজেলার দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে শনিবার পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয় বলে জানান নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জয়নাল আবেদীন।

দণ্ডিতরা হলেন দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক মো. আশরাফ ফারুক রুকন, অফিস সহকারী মতিউর রহমান, কম্পিউটার অপারেটর জহির উদ্দীন, পিয়ন এরশাদ ও পরীক্ষার্থী লিতু বেগম।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে আটক করেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বাক্কার সিদ্দিক।

আটকরা হলেন স্টুডিও ব্যবসায়ী স্বাধীন মিয়া, মুকল মিয়া ও আব্দুস সবুর মিয়া।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ গেট সংলগ্ন ‘শামীম কম্পিউটার ও ডিজিটাল স্টুডিও’ নামে একটি কম্পিউটার কম্পোজ, ফটোকপি ও স্টুডিও দোকানে তিনি অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সন্দেহভাজন ওই তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এবং দোকানটি সিলগালা করে দেন।