সরেজমিনে দেখা গেছে, বেকারি, মিষ্টির দোকান ও হোটেলগুলোয় নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে।
অভিযোগ এসেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানিটারি পরিদর্শককে ম্যানেজ করেই এসব চলছে।
স্যানিটারি পরিদর্শক মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলছেন, “বিভিন্ন সময় ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে বাজার পরিদর্শনে যাওয়া হয়নি। এছাড়া শারীরিকভাবে আমি সুস্থ নই।”
আর জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন আফজাল হোসেন কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্যাঁতসেঁতে, নোংরা পরিবেশে পাউরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য, নানা পদের মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে খাবারের হোটেলগুলোয়।
উপজেলা শহরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় একটি নামবিহীন হোটেল চালান আশরাফ আলী নামে এক ব্যক্তি।
আশরাফ বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হলেও স্যানিটারি পরিদর্শকের মাথাব্যথা নেই। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, তোফাজ্জেল হোসেন মাসোহারা নিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চলেন বলেই তোফাজ্জেল হোসেন বহাল তবিয়তে রয়েছেন।”
উপজেলার তাড়াইল সড়কের পাশে হাজিগঞ্জ বাজার। এ বাজারের এক বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী নাম না জানিয়ে বলেন, “আটা-ময়দা মাখতে গেলে পানি লাগে। পানি ব্যবহার করলে কিছুটা নোংরা তো হবেই।”
আর বাইশরশি বাজারের খন্দকার হোটেল অ্যান্ড সুইটসের মালিক আবদুর রশিদ এসবে কোনো সমস্যা দেখেন না বলে জানালেন।
তিনি বলেন, “আমরা তো সব সময় এভাবেই করি। যারা খায় তারাও তো কোনো আপত্তি করে না। পরিষ্কার পানি দিয়েই রান্না করি। বান্নার আগে হাত ধুয়ে নিই।”
অনেক জায়গায় মেয়াদ-উত্তীর্ণ পণ্যসামগ্রী বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পিঁয়াজখালী বাজারের চা-বিস্কুট বিক্রেতা আসলাম মিয়া বলেন, “এগুলো আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা গরিব মানুষ। ফুটপাতে চা-পান বিক্রি করে সংসার চালাই। উৎপাদন বা মেয়াদ দেখার সময় নাই। বিক্রি করলে লাভ হয় তাই বিক্রি করি।”