বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকা থেকে তার লাশ পাওয়া যায় বলে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান।
নিহত মোস্তাক আহমদ (৩২) বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।তাছাড়া মাদক ব্যবসার অভিযোগে মহেশখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
ঘটনাস্থলের পাশ থেকে এক হাজার ইয়াবা, চারটি বন্দুক ও চার রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ওসি প্রদীপ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়তলী এলাকায় দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
“এতে এক পর্যায়ে মাদকচক্র পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।”
লাশ থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এরআগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় ‘দুই মাদক চক্রে’ মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ইয়াবা ও অস্ত্রসহ মোহাম্মদ হাসান নামের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত এই বন্দুকযুদ্ধে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি, অভিযানের সময় মাদক চক্রের সদস্যরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিবর্ষণ হয়, তাতেই এদের মৃত্যু ঘটে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।