বাগেরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন খালেকের স্ত্রী

একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাকিল আহসান ওরফে শাকিল খান মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় বাগেরহাট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিনা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুন নাহার।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2018, 08:53 AM
Updated : 24 May 2018, 03:22 PM

এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। মেয়র পদে নির্বাচন করার আগে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হলে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে।

তফসিল ঘোষণার পর তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

এর আগে ২০০৮ সালেও এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন হাবিবুন নাহার।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নূরুজ্জামান তালুকদার জানান, বাগেরহাট-৩ (রামপাল) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে হাবিবুন নাহার তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ আসনে দুটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. শাকিল আহসান ওরফে শাকিল খান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তিনি তা জমা দেননি। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুন নাহারের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

“তার মনোনয়নপত্রে কোনো ত্রুটি না থাকলে তিনি এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আগামী ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করা হবে।”

হাবিবুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিগত দিনেও এই আসনের সাংসদ ছিলাম। এই আসনে আবার নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজ শেষ করব।”

এলাকার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকুসহ কয়েকশ দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাকিল খান তার মনোনয়নপত্র সম্পর্কে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বাড়ি রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামে। পিতৃভূমির সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শূন্য আসনে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

শাকিল দাবি করেন, “আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গণভবনে ডেকে ভবিষ্যতে রাজনীতির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। তাই আমি মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুন নাহারকে সমর্থন জানাচ্ছি।”

তার এই দাবি সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, “এলাকায় তার কোনো কর্মকাণ্ড নেই। স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি আওয়ামী লীগের কেউ কি না তা আমাদের জানা নেই। নেত্রী তাকে ডেকেছিলেন কিনা তা জানি না।”

তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন আগামী ২৭ মে। আর ৩ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ২৬ জুন এখানে ভোট হওয়ার কথা।

রামপাল ও মংলা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও রামপাল পৌরসভা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ২৪৯ জন। কেন্দ্র ৯০টি।