ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয় বলে তার বড় ভাই লিটন মিয়া জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রক্রিয়া ও ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
এদিকে হাসাপাতালে রাসেলের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি তদন্ত জিয়াউল হক বলেন, “এঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।”
রাসেল (১৯) পৌর শহরের মধ্যপাড়া এলাকার রবি মিয়ার ছেলে। তিনি পৌর শহরের সিটি সেন্টারে অবস্থিত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নৈশ প্রহরী ছিলেন।
সোমবার গভীর রাতে ওই এলাকার স্বপ্নালোক ফ্যাশন হাউজে চুরির ঘটনায় পুলিশ তাকে বাড়ি ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সেখানে তার উপর নির্যাতন চালানো হলে সে বাঁচতে থানা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন বলেন, সিটি সেন্টারের নৈশ প্রহরী এবং ওই ফ্যাশন হাউজের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
“শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসিটিভিতে রাতে তাদের ছবি দেখা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নৈশ প্রহরী রাসেলকেও থানায় আনা হয়। রাত ৯টার দিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে তিন তলা থেকে লাফ দেয়।”
তবে রাসেলের মামা খবির মিয়ার অভিযোগ, রাসেলকে ডেকে থানা ভবনের ছাদে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। মারধর থেকে বাঁচতেই রাসেল ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে।