খুলনায় ছয় বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের ছয়টি দস্যু বাহিনীর ৫৭ সদস্য।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2018, 11:29 AM
Updated : 23 May 2018, 11:29 AM

বুধবার খুলনার লবণচরায় র‌্যাব-৬ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তারা আত্মসর্পণ করে বলে র‌্যাব-৬ খুলনার পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান

এ সময় তারা দেশি-বিদেশি ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ২৮৪ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে।

বনদস্যু দাদা ভাই ওরফে রাজন বাহিনী, আমীর আলী বাহিনী, হান্নান বাহিনী, মুন্না বাহিনী, ছোট শামছু বাহিনী ও সূর্য্য বাহিনীর ৫৭ সদস্য আত্মসর্পণ করেছে বলে জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এই দস্যু বাহিনী সুন্দরবনের শ্যামনগর, আড়পাঙ্গাসিয়া, মংলা, আন্ধার মানিক, হারবাড়িয়া, কলাগাছি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল।

“তবে সম্প্রতি র‌্যাবের বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে পর দস্যুদের দৌরাত্ম কমতে থাকে। সেইসঙ্গে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় তারা আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে শুরু করে।”

এর আগে ২১৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে বলে জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশকে জঙ্গি, মাদক ও জলদস্যু-বনদস্যু মুক্ত করতে হবে। শিগগিরই সুন্দরবনকে জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

“ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

সম্প্রতি তিন হাজারের বেশি মাদক বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খুলনা সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান।