আসামি নাজমুল (২৪) বুধবার দুপুরে নেত্রকোণা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি নিয়ে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে কৌঁসুলি রাসেল আহমেদ খান জানিয়েছেন।
নাজমুল উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সুন্দ্রাকান্দা গ্রামের মৌজ আলীর ছেলে।
নির্যাতিত ওই নারী তিন সন্তানের জননী। তার স্বামী একজন দিনমজুর।
মামলার নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে, নাজমুল তাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে সাড়া না দেওয়ায় ১২ মে সন্ধ্যায় ঘরের পেছনে তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যান নাজমুল। সেখানে ধর্ষণের পর শরীরের সংবেদনশীল জায়গা ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে নাজমুল পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ১৪ মে নাজমুলকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তাদিরুল আহমেদ জানিয়েছেন, নির্যাতিত ওই নারীর চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার পুনর্বাসনের উদ্যোগও নেওয়া হবে।