ময়মনসিংহে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ  

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গৃহহীনদের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ইলিয়াস আহমেদ ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2018, 05:46 PM
Updated : 22 May 2018, 07:45 PM

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা ও ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম বলেন, “সোমবার সকালে এক একর জমির মধ্যে প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেছি। সেখানে ৫০-৬০টি পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

“আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাটে সরকারি বরাদ্দ ৮৮ মেট্রিক টন চাল; যার বাজার মূল্য ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।”

স্থানীয় বাসিন্দা মো. বায়তুল্লাহর অভিযোগ, প্রকল্পের স্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেই আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও আমার পৈত্রিক জমিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট করা হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রজেক্ট প্রোফাইলে উজান কাশিয়ার চর মৌজার ১৭২৮ ও ১৭২৯ দাগে স্থান নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে আমার পৈত্রিক মালিকানাধীন ১৬৭৯ দাগে মাটি ভরাট করা হচ্ছে।” 

প্রকল্পের জমি নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা বলেন, “সার্ভেয়ার যে স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে আমি সেখানেই কাজ করছি। অভিযোগকারী আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

মোহাম্মদ আলী নামে আরেকজন অভিযোগ করেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে বিগত ছয় মাস আগে ২২ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করে নেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা ও ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

প্রকল্পের সাইনবোর্ড না টানিয়ে তথ্য গোপন করে ভাংনামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় উজান কাশিয়ার চরে ড্রেজার দিয়ে বালি কেটে এ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু আগামী ৩০ জুন এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। তাই বরাদ্দ ফেরত যাওয়ার ভয়ে তড়িগড়ি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রকল্পের স্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেই মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়েছে বলে মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ।   

ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুর নূর খোকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাকে প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সরকারি জায়গাতেই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই ২২ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু টাকা প্রকল্পের কাজেই ব্যয় করা হবে। স্থান নির্ধারণ করেছেন সার্ভেয়ার। এ বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন।

সার্ভেয়ারা রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের সার্ভেয়ার যেভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল আমি সেভাবেই স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছি। বিষয়টি আগের সার্ভেয়ার ভালো বলতে পারবে।”