গোপালগঞ্জ শহরতলির হরিদাসপুরে মধুমতীর তীরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ঘেঁষে এই শিল্প নগরী গড়ে উঠছে। কিন্তু কাজ শুরুর পর এই শিল্প নগরী ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝখান দিয়ে রেললাইন নির্মাণ শুরু হলে বিসিকের সঙ্গে নির্বিঘ্ন যোগাযোগে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
গোপালগঞ্জ বিসিকের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এ এম জসীম উদ্দিন বলেন, “রেললাইন হচ্ছে অনেক উঁচু করে। এই লাইনের ওপর দিয়ে বিসিকের মালবোঝাই গাড়ি যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়বে। দূরের বড় বিনিয়োগ না-ও পারে।
“সমস্যা সমাধানের জন্য রেলের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে যে তারা এখানে আন্ডারপাস বানিয়ে দেবে। কিন্তু তারা এখন গড়িমশি করছে। এ কারণে শিল্প নগরীর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও এক বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।”
২০১০ সালে ৫০ একর জমির ওপর ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ শিল্প নগরী প্রকল্পের কাজ শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই এর সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন, রাস্তা, নালা, কালভার্ট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
“এখানে ৩৬০টি শিল্পপ্লটে ২৫০টি শিল্প ইউনিট গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় আড়ই হাজার মানুষের। এ বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।”
পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে বড় বড় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা। সেক্ষেত্রে বিসিক অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
প্রকৌশলী জসীম বলেন, “এখানে কারখানা স্থাপনে দেশের খ্যাতনামা উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু আন্ডারপাস না হলে তারা হয়ত মুখ ফিরিয়ে নেবেন। উঁচু রেললাইনের ওপর দিয়ে মালবোঝাই যানচলাচল কঠিন।”
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।