সরকারি গাছ নেওয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরের এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমফিজুর রহমান শিপন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 03:20 PM
Updated : 21 May 2018, 03:21 PM

সদর উপজেলার মাচ্চর ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সদস্য গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করলেও গাছগুলো কোথায় রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।

এলাকার মনির উদ্দিন মল্লিক বলেন, মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর-শিবরামপুর সড়কের পাশে ১৯৮৬ সালে লাগানো বেশকিছু বড় মেহগনি গাছ রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ঝড়ে দুইটি গাছ পড়ে যায় এবং কালভার্ট নির্মাণের জন্য একটি গাছ কেটে রাস্তার পাশে রাখা হয়।

“রোববার রাতে সেখান থেকে তিনটি মেহগনি গাছ নসিমনে করে নিয়ে যান মাচ্চর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রশিদ মোল্যা।

“স্থানীয়রা গাছগুলো নিতে বাধা দিলে রশিদ মোল্যা তাদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিতে বলেছেন। এরপর তিনি গাছগুলো নিয়ে চলে যান।”

রশিদ মেম্বার চেয়ারম্যানের নাম বলায় তারা আর কিছু বলেননি। তিনটি গাছের আনুমানিক মূল্য আড়াই লাখ টাকা বলে জানান মনির।

সদস্য রশিদ মোল্যা বলেন, “গাছ গুলো কেটে নিতে বলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী। তার কথায় গাছ কেটে লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।”

গাছগুলো কোথায় রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রশিদ মোল্যা বলেন, সেটি চেয়ারম্যান সাহেব জানেন।

গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে মাচ্চর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে গাছগুলো কেটে এক স্থানে রাখার কথা। সেখান থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।”

বর্তমানে গাছ গুলো কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গাছগুলো মেম্বারের হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে রশিদ মেম্বার বলেন, “আমার উপস্থিতিতেই চেয়ারম্যানের লোকদের কাছে গাছগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সোমবার দুপুরে মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় গিয়েও কাটা গাছগুলো দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান বলেন, তিনি ঢাকায় জরুরি মিটিংয়ে আছেন। পরে কথা বলবেন।