এ কারণে প্রতিমাসে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
তবে মাগুরার সাব রেজিস্ট্রার আলী আকবর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী বলেন, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী মৌজার ধানি শ্রেণির প্রতি শতক জমির মূল্য এক লাখ ৪ হাজার ৪৪৭ টাকা। এই মৌজার কিছু জমি রেজস্ট্রিকালে মূল্য কম দেখানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, সম্প্রতি পারনান্দুয়ালী মৌজার ৮ শতক ধানি জমিকে পুকুর শ্রেণি উল্লেখ করে ৪৪৮৬/১৭ নম্বর দলিলে প্রতি শতক বিক্রি লেখা হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৮১৬ টাকা দরে। সে হিসাবে এই একটি দলিলেই সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৮২ টাকা।
এ ধরনের দলিল তৈরিতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এক শ্রেণির দলিল লেখকসহ একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি মাগুরা সব রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এ ধরনের একাধিক জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে অবমূল্যায়নের তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসন।
তদন্তে অন্তত চারটি দলিলে এ ধরনের জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে; যা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. আতিকুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত পরিচালনা করি। ওই তদন্তে পাওয়া বিভিন্ন অনিয়মের রিপোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রার আলী আকবর অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, “সংশ্লিষ্ঠ প্রতিটি কাগজের সঙ্গে মিল রেখেই দলিল সম্পাদন করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এস এ পর্চা ও আরএস পর্চার ভিন্নতার কারণে শ্রেণি নিয়ে দুয়েকটি ব্যত্যয় দেখা দিতে পারে।”