পিরোজপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ৫ আসামি গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 10:41 AM
Updated : 21 May 2018, 10:44 AM

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের খবির উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ফজলুল হক হাওলাদার (৭৫), হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান হাওলাদার (৭৪), আফছার আলী হাওলাদারের ছেলে আজহার আলী হাওলাদার ওরফে আজু মুন্সী (৮৮), নজর আলী হাওলাদারের ছেলে আশরাফ আলী হাওলাদার (৬৭) ও ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামের মহব্বত আলী হাওলাদারের ছেলে মো. মহারাজ হাওলাদার ওরফে হাত কাটা মহারাজ (৬৮)।

পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দায়ের করা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বিজয়কৃষ্ণ বালা ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর পিরোজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন।

বাদীর অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ৯ কার্তিক ভোরে আসামিরা পূর্ব পশারীবুনিয়া গ্রামে বিজয়কৃষ্ণ বালার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা নিরোধচন্দ্র বালাসহ সাতজনকে ধরে নিয়ে যান। গ্রামের বনমালী গাছারুর বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে এক দড়িতে বেঁধে দাঁড় করিয়ে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়েও বিজয়কৃষ্ণ বেঁচে যান। তবে তার বাবা নিরোধ চন্দ্র বালা, ছোট ভাই রণজিৎ বালা, বোনের স্বামী সুকুমার মিস্ত্রি, প্রতিবেশী গঙ্গাচরণ হালদার, অমূল্য মিস্ত্রি, সমীর মিস্ত্রি মারা যান। একই বছরের ২০ জ্যেষ্ঠ আসামিরা ওই গ্রামের উপেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, চিত্ররঞ্জন বেপারি, সতীশচন্দ্র বেপারী, শরৎচন্দ্র মাঝি, প্রকাশ হালদারকে গুলি করে হত্যা করেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় আরও ১৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আসামিরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারীদের ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।