ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনজয়পাড়ায় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাহাড়ে মাটি ধসের ওই ঘটনা ঘটে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, মনজয় পাড়ার বড়ইতলী গ্রামের সুপায়ন বড়ুয়ার খামারে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে পানি চলাচলের নালা তৈরির কাজ করছিলেন পাঁচ শ্রমিক। হালকা বৃষ্টির মধ্যে এক পর্যায়ে নালার দুই পাশের মাটি ধসে পড়লে পাঁচজন চাপা পড়েন।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাটি সরিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক পর নূর মোহাম্মদ নামে ২২ বছর বয়সী একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান তারা।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আলমগীর শেখ জানান, ধসের ঘটনার ছয় ঘণ্টা পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় নূরুল হকের ছেলে নূরুল হাকিমকে (২৫) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উখিয়ার হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এর ঘণ্টাখানেক পর ধসে পড়া মাটি সরিয়ে মনজয় পাড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. আবু আহমেদ (২৫), শাহ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৮) এবং স্থানীয় মোহাম্মদ আলমের স্ত্রী সোনা মেহেরের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমন চৌধুরী জানান।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম জানান, স্থানীয় প্রশাসন এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।
বর্ষায় পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুকিপূর্ণ বসতি স্থাপন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ঝুকিপূর্ণ বসতির তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঝুকিপূর্ণ বসতি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।”
গতবছর বর্ষার শুরুতে দুই দিনের ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলায় পাহাড় ধসে অন্তত ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়।