শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা গ্রামে শুক্রবার বিকালে এ বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি কামরুল হাসান সোহেল জানান।
আহতরা হলেন ধানুকা গ্রামের নুর মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে সজিব বেপারী (৮), মেয়ে মাহমুদা আক্তার (১১) এবং ফারুক বেপারীর ছেলে তামিম বেপারী (৯)।
আহত শিশুদের পরিবার জানায়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণের আনন্দে সারাদেশের সঙ্গে শরীয়তপুরেও আতশবাজির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় ধানুকা বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামে আতশবাজি পোড়ানো হয়।
অনুষ্ঠান শেষে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকা কয়েকটি আতশবাজি কুড়িয়ে পায় সজিব, তামিম, মাহমুদা। পরে তারা ওগুলো বাড়ি নিয়ে আসে এবং শুক্রবার বিকালে আগুনের তাপ দিলে তা বিস্ফোরিত হয় বলে জানান তারা।
আহত তিন শিশুকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিব ও তামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
এনডিসি কামরুল হাসান সোহেল বলেন, “ঘটনা শোনার পরে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দুইজনকে জেলা প্রশাসনের খরচে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এদের একজনের চোখে সামান্য আঘাত লেগেছে। অন্য জনের হাতে লেগেছে।
“তাদের ডাক্তার দেখানোর পর ঢাকা থেকে রাতেই শরীয়তপুরে নিয়ে আসা হবে।”
আহত তামিমের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন বেপারী বলেন, “আতশবাজি উৎসব শেষে নিষ্ক্রিয় না করে মাঠের মধ্যে ফেলে যায়। শিশুরা খেলতে গিয়ে কুড়িয়ে পায় সেগুলো। পরে সেগুলোর বিস্ফোরণে মারাত্মক আহত হয়।”