সরেজমিনে লওখণ্ডা পাথারে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার প্রসন্নপুর থেকে তেলিকান্দা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও তেলিকান্দির খাল ভরাট হওয়ায় পানি নামার উপায় নেই।
কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির সময় আশপাশের গ্রামের ময়লা-আবর্জনা এসে জমে জমে নোংরা হয়ে গেছে বিলের মাটি।
লওখণ্ডা গ্রামের কৃষক মিন্টু কাজী বলেন, “পাথারের পানি পচে গেছে। এখানে নামলেই জোঁক লাগে। পচা পানিতে গা চুলকায়। স্থানীয় শ্রমিকরা তো এখানে নামেই না, দূরের শ্রমিকরা কাজ শুরু করলেও পালিয়ে যায়। পাথারের প্রায় ৫০০ বিঘা জমির ধান নিয়ে এলাকার কৃষকরা বিপাকে পড়েছে।”
ওই পাথারে তার ৫৫ বিঘা জমির রোবো ধান পেকে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত এই ধান ঘরে তুলতে পারব কিনা তার কোনো ঠিক নেই, ভাই। মহা বিপদ। ইতিমধ্যেই পানি বেড়ে শুধু শিষটা জেগে আছে। আর একটু বাড়লেই তলায় যাবে।”
ধানকাটা শ্রমিক শাম শেখ বলেন, “পাথারে নামলেই জোঁক লাগে। গা চুলকায়। এ কারণে শ্রমিকরা ধানকাটা ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে।”
ওই গ্রামের কৃষক দুলু কাজী, রশিদ মিয়াসহ এলাকাবাসীয় তেলিকান্দির খাল খনন করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানিয়েছেন।
দুলু বলেন, “এছাড়া সাত-আট শ মিটার নালা নির্মাণ করে পাথার থেকে গোহালা খালে সংযুক্ত করে দিলেও জলাবদ্ধতা থাকবে না। তাহলে আমরা ধান নিয়ে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাব।”
কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাতে এ ধরনের কোনো প্রকল্প নেই।
গোপালগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাফি উদ্দিন বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় ধরনের খাল খনন বা অন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন হলে আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারি।”