রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৭৭ কর্মচারী ছাঁটাই

নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ার অভিযোগে রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে যাদের বেতন বন্ধ ছিল।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2018, 04:33 PM
Updated : 17 May 2018, 04:34 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে তিনমাস ১৩ দিনের বকেয়া বেতন পরিশোধের পর তাদের ছাঁটাই করা হয় বলে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আকতার হোসেন আজাদ জানান।

সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর আমলে এ কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। 

আকতার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিটি করপোরেশন পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকালে প্রত্যেক কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করার পর তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

প্রথম শ্রেণির রংপুর পৌরসভাকে ২০১২ সালের ২৮ জুন সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। করপেোশনের ৫০১ জন কর্মচারির মধ্যে ১৭৭ জনকে প্রথম মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর আমলে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করে আসছিলেন।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নির্বাচনে ঝন্টুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৭৭ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন তিনি।

সেইসঙ্গে তাদের নিয়োগ বিধিসম্মত হয়েছে কি না তা তদন্ত করতে সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দেন। গত ১৩ মে মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দেয় কমিটি।

কমিটির প্রধান আকতার হোসেন আজাদ বলেন, “কাগজপত্র ঘেঁটে যা পাওয়া গেছে তাতে মেয়র ঝন্টুর আমলের নিয়োগ পাওয়া ১৭৭ জনের নিয়োগের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি নেই। মেয়র নিজের ক্ষমতাবলে তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।

“যা বিধিসম্মত হয়নি বলে আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি।”

মেয়র মোস্তফা বলেন, “নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় পরিষদের সভায় ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বিকেলে বকেয়া বেতন পরিশোধ করে তাদেরকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে।”  

এদিকে গত পাঁচবছর ধরে চাকরি করার পর ছাঁটাই করা কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কর শাখার প্রধান তন্ময় কুমার সরকার বলেন, “এমএ পাশ করার পর সিটি করপোরেশনে প্রথম চাকরিতে ঢুকেছিলাম। পাঁচবছর চাকরি করা অবস্থায় সরকারি চাকরীর বয়স পেরিয়ে গেছে। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কি করব ভেবে পাচ্ছি না।”

সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “এক সঙ্গে এত কর্মচারীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। বিষয়টি অমানবিক হয়েছে বলে পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছি।”