এই আন্দোলনের কারণে খনি থেকে কয়লা তোলার কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খনির শ্রমিক ও কর্মচারীরা গত কয়েক দিনের মত বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে খনির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে দুপুর পর্যন্ত সেখানে কোনো গোলযোগ ঘটেনি।
খনির এক হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গত রোববার থেকে এ আন্দোলন শুরু করে। কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে খনির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষও ঘটে।
আন্দোলনকারীদের ১৩ দফার মধ্যে সব শ্রমিককে নিয়োগপত্র দেওয়া, প্রতি বছর ৪০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ, সকল শ্রমিককে গ্র্যাচুইটি দেওয়া, খনির ভেতরে যারা কাজ করেন, তাদের কর্মঘণ্টা সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টায় বেঁধে দেওয়, খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি গ্রামের বাড়ি-ঘরের বিষয়ে দ্রুত স্থায়ী সমাধান এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকরি দেওয়ার দাবিও রয়েছে।
“কিন্তু শ্রমিকরা কর্মবিরতির পাশাপাশি খনি গেইটে অবস্থান নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।”
কর্মবিরতির প্রথম দিন তিনি জানিয়েছিলেন, ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা হাতে থাকায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তোলন শুরুর সময় ৩৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন বিটুমিনাস কয়লার মজুদ থাকার কথা জানানো হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খনি থেকে প্রায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়।