এ দুই নেতা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার ও তার মেয়ের জামাই উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মনি।
মুক্তাগাছা পৌর সাধারণ পাঠাগার মিলনায়তনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ২ নম্বর বড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার মেয়ের জামাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলাসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছেন।
ইতিমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুজ্জামান সিদ্দিক, বাঁশাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত আলী এমদাদ, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খোন্দকার মঞ্জুরুল হক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলন জাহাঙ্গীর আলমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে বড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস আলীকে বিল্লাল হোসেন সরকার মোবাইল ফোনে অব্যাহতভাবে গালিগালাজ করে হাতপা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিল্লাল সরকার ও তার মেয়ের জামাই-এর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি ২৮ জন ত্যাগী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে তারা জরুরি আইনে মামলা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম জহিরুল হক জহির, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মো. তারেক, যুব বিষয়ক সম্মাদক হুমায়ুন কবির হুমি, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মশিউর, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার বলেন, “গত ১৫ এপ্রিল আমার মেয়ের জামাই উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে আওয়ামী লীগের একাংশ। পরে ২৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়।
“সেই মামলাকেই ধামাচাপা দিতে একটি মহল আমাদের অপসারণ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে।”