আহত তানজিম আক্তার মালা (১৬) ও মারজিয়াকে (৮) ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তারা উত্তর দিঘলদি ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের হেলাল রাড়ির মেয়ে।
ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তৈয়বুর রহমান বলেন, “আহত মালার বাম চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আহতদের স্বজনরা জানান, মালা (১৬) ও মারজিয়া (৮) সোমবার রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ২টার পর হঠাৎ জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত মেয়েদের উদ্ধার করতে গিয়ে মায়ের হাতও এসিডে ঝলসে গেছে বলে তারা জানান।
মালা এ বছর স্থানীয় আবদুল মান্নান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ গ্রেডে পাস করেন। আর মার্জিয়া স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
ভোলার পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন বলেন, “ওই গ্রামের বখাটে রাজিব গ্রেমের প্রস্তাব দিলে মালা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর পর থেকে সে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মালার ধারণা রাজিব এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউসুফ নামে একজন ও রাজিবের বাবাকে পুলিশ আটক করেছে।”