সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিভাগীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে সেখানে অবস্থান ধর্মঘটের মতো পালন করেন বিএনপির প্রার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সেখানে মঞ্জু একটি কাগজে চারটি বিষয়ে প্রতিকার চান। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ঘেরাও এবং গ্রেপ্তারের প্রতিকার করবেন, না হয় আমি এখানে বসে থাকব’।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলীর সঙ্গে আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ফিরে আসেন মঞ্জু।
এর আগে সন্ধ্যার পর প্রায় দেড় ঘন্টা ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আরজুর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে বলে অভিযোগ বিএনপির।
পরে সেখান থেকেই খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও অভিযোগ করছে বিএনপি।
তবে সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করা হয়নি। আর বসু পাড়া মোড় থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তুহিনের বিরুদ্ধে তিনটি নাশকতার মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলীর কাছে মঞ্জুর দেওয়া চিঠিতে হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গণগ্রেপ্তার বন্ধ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ছয় থানার ওসির অপসারণ, নগরীর আবাসিক হোটেলে বহিরাগতদের উচ্ছেদে অভিযান এবং খুলনা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপ-কমিশনারের অপসারণের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে আলাপ করেছি, কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়। তবে সুনির্দিষ্ট মামলা থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করলে কমিশনের কিছু করার নেই।”
আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়ে বহিরাগতদের বের করে দেওয়ার জন্য ওসিদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।