রোববার সকাল থেকে তারা কাজ বন্ধ রেখেছে বলে জানান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারীর ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম।
রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৬ এপ্রিল খনি কর্তৃপক্ষকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া এবং আজকের কর্মবিরতির বিষয়ে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।
“কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছি।”
তিনি বলেন, খনির এক হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের কেউ কাজ করছে না। শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল ৬টা থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে এবং খনি থেকে বের হয়ে খনি গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
বর্তমানে ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কর্মবিরতির কারণে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।
এছাড়া শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে দ্রুত সমাধানের প্রক্রিয়াও চলছে বলে তিনি জানান।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চুক্তি অনুযায়ী সকল শ্রমিকদের নিয়োগ প্রদান, প্রতি বছর ৪০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ, সকল শ্রমিকদের ক্ষেত্রে গ্রাচুইটি প্রদান, আন্ডারগ্রাউন্ড শ্রমিকদের ৬ ঘণ্টা ডিউটি করানো, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি গ্রামের বাড়ি-ঘরের দ্রুত স্থায়ী সমাধান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকরি প্রদান।