পাগলা মসজিদের দানবাক্স ভেঙে চুরির চেষ্টা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরির চেষ্টা হয়েছে; মসজিদটির চারটি দানবাক্সে প্রতিদিন লাখ টাকার ওপরে জমা হয়।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2018, 10:18 AM
Updated : 13 May 2018, 10:23 AM

শনিবার গভীর রাতে দানবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে পালানোর সময় নৈশপ্রহরীদের বাধায় টাকাভর্তি বস্তা ফেলে এক মুখোশধারী পালিয়ে যায় বলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই ইমরান হাসান জানান, চোর মসজিদের মালখানার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সেখানে রাখা সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা বস্তাভর্তি করে পালানোর সময় নৈশপ্রহরী শরীফ ও মকবুল টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করে।

“এ সময় চোর হাতে থাকা রড দিয়ে শরীফের মাথায় আঘাত করে পালাতে থাকে। কিন্তু মকবুল ধাওয়া অব্যাহত রাখলে এক পর্যায়ে টাকার বস্তা, রড ও গ্রিল কাটার যন্ত্রপাতি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।”

রোববার সকালে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মোহাম্মদ সাঈদের তত্ত্বাবধানে ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদ কমিটির সদস্য ও কর্মচারীরা টাকা গণণা করেন।

আবু তাহের মোহাম্মদ সাঈদ জানান, গণনা করে আট লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া গেছে। পরে তা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।

এসআই ইমরান বলেন, মসজিদের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে চোরের পরিচয় শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তারে করা হবে।

শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত মসজিদটির চারটি দানসিন্দুক রয়েছে। সেসব দানসিন্দুকে প্রতি দিন লাখ টাকার ওপর জমা হয়।

সবশেষ গত ৩১ মার্চ সিন্দুকগুলো থেকে ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো থেকে এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া যায়।

দানবাক্সে নগদ টাকা ছাড়াও স্বর্ণালংকার এবং ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও জমা পড়ে।

এসব অর্থে মসজিদ ও কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত এতিমখানা, মাদ্রাসা, গোরস্থান, জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করার পাশাপাশি দুঃস্থদেরও সহায়তা করা হয় বলে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহ আজিজুর রহমান রুমেন জানান।