‘গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ গড়ি, সম্প্রীতির খাগড়াছড়ি’ শ্লোগানে শনিবার জেলা শহরের টাউন হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে পাহাড়িদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্বদানকারী ৫৯৮ জন হেডম্যান ও ৪৫ জন কারবারী যোগ দেন।
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান।
তিনি পাহাড়ে কোনো ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত হচ্ছে না দাবি করে বলেন, যা হচ্ছে তা এলাকা নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। কে কোন এলাকা দখল করে চাঁদাবাজি করবে এ লড়াই চলছে। এ অরাজকতা আর চলতে দেওয়া যায় না।
‘পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি নয় সন্ত্রাসঘাতি’ চলছে অভিযোগ করে বলেন, “সাধারণ পাহাড়িদের মাথার উপর লবণ রেখে বরই খাচ্ছে। জুম চাষ থেকে শুরু করে গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি থেকে পর্যন্ত চাঁদা খাচ্ছে।”
তিনি সাধারণ পাহাড়িদের সন্ত্রাসীদের রুখে দেওয়ার আহবান জানান এবং নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেন।
কারবারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা এ সম্প্রীতি সম্মেলনের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি-সম্প্রীতি ফিরে আসবে বলে আশা করেন।
হেডম্যান ডিকু তালুকদার বলেন, কারা এলাকায় চাঁদাবাজি করছে, সন্ত্রাস করছে সবারই জানা আছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সম্প্রতি পাহাড়িদের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও একটি আঞ্চলিক সংগঠনের প্রধানসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে তৃণমূল পাহাড়ি নেতাদের সহযোগিতা চান।
পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান কমিউনিটি পুলিশকে সন্ত্রাসী ও সমাজ বিরোধীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য পাহাড়িদের আহ্বান জানান।