ঈদের পর গাজীপুরে নির্বাচন চান জাহাঙ্গীর-হাসান

ঈদে বাড়ি যাওয়া ভোটরের সুবিধার জন্য ছুটির পর কয়েকদিন সময় রেখে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নতুন তারিখ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2018, 02:28 PM
Updated : 11 May 2018, 02:29 PM

এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম চান ২৫ কিংবা ২৬ জুন এবং বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার চান ২৬ অথবা ২৭ জুন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী ২৫ থেকে ২৯ জুন দেশের বাইরে থাকবেন। অপরদিকে আদালতের আদেশ হলো ২৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

তাই ঈদের পর কয়েকদিন সময় নিয়ে ২৫ জুনের আগে কোনো এক সময় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে।   

ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট স্থগিত হয়ে যায়। পরে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের ওই আদেশ বাতিল করে দিলে বাধা কেটে যায়।  

শুক্রবার দুপুরে টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকায় জুম্মার নামাজ শেষে হাসান সরকার এবং ছয়দানার নিজ বাসবভনে জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে ভোটের নতুন তারিখ নির্ধারণ নিয়ে কথা জানান।

ফাইল ছবি

হাসান সরকার বলেন, গাজীপুর শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা। এখানে বহু শ্রমিক এবং ভাসমান ভোটারের বসবাস। ঈদের ছুটিতে এসব ভোটার গ্রামের বাড়ি যান এবং তাদের ফিরতে কয়েকদিন লেগে যায়।

“এসব ভোটার যেন নির্বাচনী উৎসবে অংশ নিতে পারেন সেজন্য ২৬ কিংবা ২৭ জুন ভোট হলে ভালো হয়।”

হাসান সরকার বলেন, “আমার দুইশ-আড়াইশ লোককে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমার ইমপর্টেন্ট লোকদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি প্রশাসনের কাছে ওই মামলা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান এবং তা না করলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুমকি দেন।  

আরেক প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আলোচনা করের নির্বাচন কমিশন যেন যুক্তিসংঙ্গতভাবে ভোটের দিন নির্ধারণ করেন। এখন বৃষ্টি হচ্ছে-ঝড় হচ্ছে। নির্বাচন পেছানোর কারণে প্রার্থীদের অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক ডাবল পরিশ্রম হতে যাচ্ছে। আগে ৯দিন সময় বাকি ছিল, এখন তা আবার ১ মাস ১০ দিন সময় বেড়ে গেছে; যা প্রার্থীর জন্য অনেক ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।

“আমি মনে করি ২৫-২৬ জুন ভোট নেওয়া হলে ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া লোকজন ফিরে এসে ভোটে যোগ দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।”