স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।
এতে এসব অঞ্চলের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও বড়-ছোট গাছপালা উপড়ে যায়; ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধান, পাট ও ভুট্টা ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জলঢাকা উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- ধর্মপাল ইউনিয়নের খচিমাথা গ্রামের আলম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (৩০), তার তিন মাসের মেয়ে এবং মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ি মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২)।
এ উপজেলায় ঝড়ের সময় অন্তত ৫০ জন আহত হন বলে জানান তিনি।
ডোমার থানার এসআই আরমান আলী জানান, এ উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তারা।
এরা হলেন- কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোতলগঞ্জ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আবদার আলী (৫০), ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জামিউল ইসলাম (১২), একই ইউনিয়নের শাখারীপাড়া গ্রামের শুকারু মামুদের স্ত্রী খদেজা বেগম (৫৫) ও গোমনাতি ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার গ্রামের ধৌলু মামুদের ছেলে আব্দুল গণি (৪০)।
এসআই আরমান বলেন, “নিহতরা ঝড়ের সময় বাড়িতে ছিলেন।প্রচণ্ড বাতাসে ঘর ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।”
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করতে তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।