মানসা বাহিরদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌসুমী ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, বুধবার বেলা ২টার দিকে রেজাউলের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
“তাকে তখনই ভর্তি করে চিকিৎসা দিই আমি ও চিকিৎসক অভিজিৎ মৃধা। কিছুক্ষণ পর রেজাউল হাসপাতালে এসে চিকিৎসা দিতে দেরির অভিযোগ তুলে আমার ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে আমাকে শ্বসরোধ করে রাখেন। অনেক জোরাজুরির পর আমি তার হাত থেকে ছুটতে পারি। আরেকটু সময় গলায় ওড়না পেঁচানো থাকলে আমার মৃত্যু হতে পারত।”
পরে তিনি থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে তার অভিযোগ।
তবে জেলার পুলিশ সুপার পংকজচন্দ্র রায় পুলিশ অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রেজাউল চিকিৎসককে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছেন এমন ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে মামলা নথিভুক্ত করে আসামি গ্রেপ্তার করা হবে।”