জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ মুহাম্মদ আবু তাহের বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া এ মামলায় আদালত আরও ছয় আসামিকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।
অন্য একটি ধারায় আদালত যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে ৫০ হাজার করে আর তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ছয়জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।
যাবজ্জীবন পাওয়া ১১ আসামির মধ্যে তিনজন হলেন - কটিয়াদী উপজেলার ধুলদিয়া ইউনিয়নের সূতি নকলা গ্রামের ছিদ্দিক আলী শাহর ছেলে আল্লাদ শাহ, মোকলেছুর রহমান শাহ ও আতাউর রহমান শাহ।
অন্য আটজন হলেন – ওই গ্রামের শামসুদ্দিন শাহ, শফির উদ্দিন শাহ, রঞ্জন শাহ, আসলাম, মন্টু মিয়া, জামাল শাহ, অহিদ শাহ ও তার ছেলে চন্দন শাহ।
তিন বছর করে সাজা পেয়েছেন - একই এলাকার সবুজ ভুঁইয়া, কাঞ্চন শাহ, রফিক ভুঁইয়া, জালাল উদ্ধিন শাহ, লিটন ও ফজলু শাহ।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত এ মামলার আরও আট আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে ছিলেন।
জজ আদালতের এপিপি মো. আতাউর রহমান মামলার নথির বরাতে জানান, ২০০০ সালের ২৪ মার্চ সকালে সূতি নকলা গ্রামে ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম মেরাজ উদ্দিন মুন্সি ওরফে আবু জাহের মারা যান।
এপিপি আতাউর বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু বকর ৩১ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। বিচার চলার সময় মামলার আট আসামি মারা যান।
আসামিপক্ষে আইনজীবী এমএ রশীদ মামলাটি পরিচালনা করেন বলে জানান এপিপি আতাউর রহমান।