ফরিদপুরে জোড়া লাশ: শিক্ষিকার পরিবারের মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে একটি বাড়ি থেকে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2018, 08:22 AM
Updated : 25 Jan 2019, 02:30 PM

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাছিম জানান, সোমবার রাতে সাজিয়ার ফুফু আফসারী হোসেন অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। 

ফারুকের পরিবার থেকে এখনও কেউ মামলা করেনি বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

সাজিয়া ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং ফারুক ফরিদপুরে সোনালি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার অডিট কর্মকর্তা ছিলেন।

রোববার রাতে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার একটি বাসায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, সাজিয়ার মরদেহ দরজার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল; গায়ে কোপের দাগও ছিল। আর ফারুক হাসানের লাশ ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলছিল।

সাজিয়া দুই ছেলে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন; তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ি রাজধানীর সূত্রাপুর থানার বানিয়ানগরে। আর ফারুক হাসানের বাড়িও ঢাকার আগারগাঁও এলাকায়।

কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া ওই বাসা ভাড়া নেন এক বছর আগে। আর ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক পাশের ফ্ল্যাটে ওঠেন এক মাস আগে। বাড়ির মালিকের কাছে খবর পেয়ে নিচতলায় ফারুক হাসানের ফ্ল্যাট থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি নাছিম বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাজিয়ার স্বামী শহীদুল ইসলামকে সোমবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে মামলা দায়ের হলে তাকে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

লাশের ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।   

এদিকে সাজিয়া হত্যার প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কলেজের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।