১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সোবাহান বলেন, “বর্ষার দিনে ভোট সবার জন্য কষ্টকর হবে। বৃষ্টি-ঝড় যে মাত্রায় হচ্ছে তাতে ভোটের দিনও তা থাকলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে।
“বিশেষ করে যেসব কেন্দ্র জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে সেখানে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছি।”
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওষুধ বিক্রেতা নূরুজ্জামান বৃষ্টি হলেই তার বাড়ির সামনে পানি জমে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা যদি হয়, পানি সরাব নাকি ভোট দিতে যাব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে।”
আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ২৪টিতে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মদিনাতুল সিনিয়র মাদ্রাসার চারটি কেন্দ্র জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চান্দনা উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটিই জলাবদ্ধ দেখা গেছে।
২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার বলেন, তার ওয়ার্ডের ছোট দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ে থাকা তিনটি কেন্দ্রই বৃষ্টি হলে জলাদ্ধ ও কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের আয়েত আলী উদয়ন একাডেমির দুটি কেন্দ্রের সরু প্রবেশপথ জলাবদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাকির মাহমুদ।
আরেক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচটি কেন্দ্র রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সব কটিতে পানি জমে।
এছাড়া ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সাতপোয়া তালটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালিটিয়া পূবাইল কেন্দ্রেও বৃষ্টি হলে পানি জমে বলে তিনি জানান।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সহকারী জন ক্যানেথ রিসিল জানান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাগঞ্জ জামিয়া কাসেমিয়া দারুল উলুম এতিমখানার চারটি কেন্দ্রের মাঠে বেশি বৃষ্টি হলে পানি জমে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করেছেন।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের রাস্তা মেরামত করতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন।