খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে তিনজন ও শনিবার দুপুরে দুইজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর হয় বলে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো জানান।
গুলিতে নিহত নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে খাগড়াছড়ি থেকে নানিয়ারচর যাওয়ার পথে শুক্রবার রাঙামাটির বেতছড়িতে গুলিতে পাঁচজন নিহত ও আট জন আহত হয়।
নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সুজন চাকমা, মহালছড়ি শাখার সভাপতি তনয় চাকমা, সমর্থক রবিন চাকমা ও মাইক্রোবাস চালক সজীব হোসেন।
ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতেই তনয় চাকমা, রবিন চাকমা ও সজীবের লাশ হস্তান্তর করা হয়।আর নিরাপত্তার কারণে তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা ও সুজন চাকমার মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয় বলে জানান ওসি।
শনিবার দুপুরে পুলিশ পাহারায় শহরের তেঁতুলতলায় স্বজনদের সহায়তায় তাদের লাশ দাহ করা হয়।
হামলার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় বেতছড়ি থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়।