নানিয়ারচর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত দুই ঘটনায়ই কেউ মামলা করেনি।
তিনি বলেন, “ঘটনার ভিক্টিমদের পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে মামলা দায়েরের অনুরোধ করছি, তারা একবার মামলা করবে বলে, আবার পিছিয়ে যাচ্ছে।
“তারা যদি আজকের মধ্যে মামলা না করে, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পুলিশ বাদী হয়েই মামলা করা হবে।”
দুইদিনে ছয় জনকে হত্যার পর সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও দাবি করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহসভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে গুলি করে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রি) প্রধান তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচ জনকে হত্যা করা হয়।
এসময় গুলিবিদ্ধ হয় অন্তত আটজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুই ঘটনার জন্য প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।