সোমবার সিংড়ায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা হচ্ছে।
“এ জনবল দ্বারা ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হবে। আর এ ক্ষেত্রে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলা হবে তথ্য-প্রযুক্তির মিনি সিঙ্গাপুর।”
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে সিংড়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে জানান পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সিংড়াতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে।
“এগুলো প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ হলে চলনবিল ইকোনোমিক হাবে পরিণত হবে। এতে সিংড়ার ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।”
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে টিসিসি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত বিভাগ নাটোরের নির্বাহী পরিচালক জাইদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. সালাউদ্দিন, সিংড়া পৌরসভা মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ, স্থানীয় শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব প্রমুখ।
এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।