রাবিতে শিক্ষার্থীকে ‘ছাত্রলীগ নেতার’ মারধর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিশফিকুল ইসলাম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2018, 06:07 PM
Updated : 27 April 2018, 06:07 PM

শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে শহিদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার জিহাদ হোসাইন নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জিহাদের অভিযোগ, বিকালে তিনি টিএসসিসির পাশে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর এক ছেলে এসে বলল তাকে কোনো এক বড় ভাই ডাকছে।

“তার সাথে গিয়ে আমি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন কিস্কুকে (র‌্যাক) বসে থাকতে দেখি।

“এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিস্কু আমাকে রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর ১২ থেকে ১৫ জন এসে আমাকে মারধর শুরু করে। তারা আমাকে রড, লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। আমি তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আর কিছু মনে ছিল না।”

রুহুল আমিন

জিহাদের সহপাঠীরা জানান, জিহাদ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তার জ্ঞান ফেরে। তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

তারা আরও জানান, ডাক্তাররা বলেছেন তার মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রুহুল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়য় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এক নেতা নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে-এটা আমি শুনেছি। আমি যতদূর জানি, তাদের দুজনের মধ্যে পূর্বশত্রুতা রয়েছে।”

ছাত্রলীগের কোনো ক্ষমতাবলে রুহুল আমিন মারধর করেনি। তবে যদি ছাত্রলীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে সাংগাঠনিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়ার ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।