বৃহস্পতিবার বিকালে শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত শরাফত আলী (৫০) সদর উপজেলার চরখারচর গ্রামের বাসিন্দা। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া একই এলাকার হুসেন আলী (৪৫) ও নুরল ইসলামকে (৪০) সাত বছর এবং আনসার আলী (৫০) ও রফিকুল ইসলামকে (৪০) পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ১৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমায় পূর্ব শক্রতা ছিল চরখারচর গ্রামে নছিমদ্দিন ও আনছার আলীর পরিবারের মধ্যে। এরই জেরে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ বিকালে নছিমদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়া শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা হামলা চালায়। এ খবর রবিনের বাড়িতে পৌঁছলে তার বাবা নছিমদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে দেশিয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আসামিরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে নছিমদ্দিন ও রবিনসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হলে তাদের শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ দিন পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নছিমদ্দিনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তার ছেলে রবিন মিয়া বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদী না রাজী দিলে মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ১৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।