প্রতীক পেয়ে গণসংযোগ শুরু খুলনা-গাজীপুরে

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন।

গাজীপুর প্রতিনিধিখুলনা ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2018, 05:45 PM
Updated : 24 April 2018, 05:46 PM

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে নৌকা এবং বিএনপি প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টি, পাঁচদলসহ অন্যান্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধে্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। 

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, পাঁচ মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়।

প্রথমে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়। এরপর বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ধানের শীষ; জাতীয় পার্টির (জাপা) এস এম শফিকুর রহমানকে লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মাওলানা মুজ্জাম্মিল হককে হাত পাখা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ও বাসদসহ পাঁচ দলের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুকে কাস্তে প্রতীক দেওয়া হয়।

মেয়রদের পর সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া হয়।

প্রতীক বরাদ্দের পর তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। এখানে খালেকের প্রতিদিনের নির্বাচনী কর্মতৎপরতা, তার জীবনীসহ নানা বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে মিট দ্যা প্রেসে ওয়েবসাইটটি (www.voteforkhaleque.tk) উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেছেন। নহগরীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও গণসংযোগ করতে দেখা গেছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা), সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মেয়র প্রার্থী পাঁচজন। সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর প্রতিনিধি:

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়।

সকাল সোয়া ১০টায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার নেতাকর্মীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যান।

এর আধঘণ্টা পর নেতাকর্মীসহ যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম।

প্রথমে মেয়র প্রার্থী, পরে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মেয়র পদের প্রতীক

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম নৌকা, বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার ধানের শীষ, ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান মিনার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন হাতপাখা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন মোমবাতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন কাস্তে ও স্বতন্ত্র ফরিদ আহমদ টেবিল ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা প্রচার ও জনসংযোগে নেমে পড়েছেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নেতা-কর্মীদের নিয়ে আউটপাড়ায় জাতীয় পার্টির মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার বাড়ি গিয়ে তার দোয়া নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন।

জাপা নেতা আব্দুস সাত্তার নৌকা প্রার্থীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ১৪ দলের প্রার্থীর পক্ষে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

পরে সেখান থেকে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকায় যান এবং সেখানে নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। সেখানে একটি পথসভা করেন। পরে বনমাল, আলম মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন জাহাঙ্গীর।

বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহরের রথখোলা থেকে মিছিল বের করেন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।

পরে বিএনপির জেলা কার্যালয়ে গিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নির্বাচনী দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন এবং সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন।

পরে দলীয় কার্যালয় থেকে পুবাইলের সুকুন্দিবাগ বাজার, টঙ্গীর বনমালা এলাকায় গণসংযোগ করেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থীরা প্রচার ও জনসংযোগ করতে পারলেও দালান ও দালানের দেয়াল, বেড়া, যানবাহন, বিদ্যুতের খুঁটি বা গাছে আঠা বা অন্য কোনো পদার্থ দ্বারা পোস্টার লাগানো যাবে না। তবে ভোট কেন্দ্র ব্যতিত নির্বাচনী এলাকার যে কোন স্থানে পোস্টার, হ্যান্ডবিল, লিফলেট ঝোলাতে বা টাঙ্গাতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই রঙ্গিন পোস্টার ছাপানো বা লাগানো যাবে না।

পোস্টারে নিজের ছবি ও প্রতীক ছাড়া অন্য কারো ছবি বা প্রতীক ছাপানো যাবে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেটে ছাপাতে পারবেন।