এরপর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে সেখানেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলের সেই সেই দুঃসহ ঘটনার বিবরণ দেন তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।
“ওইদিন পোশাক কারখানায় কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ হইচই শুনে দৌড় দেই। সিঁড়ি বেয়ে নামতে ছাদের নিচে চাপা পড়ি। ডান হাতের উপর ইটের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে।
“চারদিন পর করাত দিয়ে হাত কেটে আমাকে বের করা হয়। পরে দুইমাস চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরি।”
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ১২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। সেই সঞ্চয়পত্রের মাসিক ১২ হাজার টাকা সুদ দিয়ে তার সংসার চলছে বলে জানান।
রানা প্লাজা ধসের পর সরকার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি চাকরি পাননি।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চকগোবিন্দপুর গ্রামের দিনমজুর মোশাররফ হোসেন ও গৃহিনী মমেনা বেগমের মেয়ে রিকতা খাতুন (২৮)। তার আরও দুই বোন রয়েছেন। তাদের বিয়ে হয়েছে।
২০০৬ সালে রংপুরের শঠিবাড়ি এলাকার রতন মিয়ার সঙ্গে রিকতা খাতুনের বিয়ে হয়। এক ছেলের জন্মের পর স্বামী তাকে তালাক দেন। ফিরে আসেন বাবার বাড়ি।
এরপর ২০০৯ সালে রানা প্লাজার ফ্যানটম পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এখানে চাকরিরত অবস্থায় ২০১১ সালের জুন মাসে মানিকগঞ্জের আটি গ্রামের মোরছেলিন মিয়াকে পছন্দ করে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে তার একটি মেয়ে রয়েছে। দুই বছর আগে দ্বিতীয় স্বামীও তাকে তালাক দেন। ছয়মাস আগে আবার বিয়ে করেন।
বর্তমানে প্রথম স্বামীর ছেলে রিমন (১০) এবং দ্বিতীয় স্বামীর মেয়ে মিমকে (৪) নিয়ে বাবার বাড়িতে রয়েছেন। রিমন স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ডান হাত হারান রিকতা খাতুন।