মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মামুদপুর পাথারের পাড়া গ্রামে মঙ্গলবার সকালে নছিরন বেগমের (৫০) লাশ পাওয়া যায়।
আটকরা হলেন আব্দুর রশিদ, আব্দুর রশিদের ভাতিজা মনোয়ারুল ইসলাম মনোয়ার, শাহজাহান আলী, মিজান মিয়া, সিরাজ মিয়া ও মনোয়ারা বেগম।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মাহমুদুল আলম জানান, আব্দুর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে নিহতের প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের লোকজন মঙ্গলবার শেষ রাতে ধান কাটতে যায়। ওই সময় রশিদ স্ত্রীসহ তাদের বাধা দিলে সিরাজুল ইসলামের লোকজন নছিরনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
ওসি বলেন, আব্দুর রশিদের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এতে পুলিশের সন্দেহ হয়। ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশের ধারণা হয়েছে আব্দুর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ধান কাটার যে দাবি করা হয়েছে তার কোনো আলামত ওই জমিতে নেই। তাই সন্দেহের তীর তার এবং তার পরিবারের উপর গিয়ে পড়ে।
ওসি মাহমুদুল আরও বলেন, রশিদের সঙ্গে প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
“এর জের ধরে সিরাজুল ইসলামকে ফাঁসাতে রশিদ নিজের স্ত্রীকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে রেখে আসতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ওসি জানান।